গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো সুচিন্তিত ও সুগঠিত জনমত। জনগণ যদি অজ্ঞতা, অশিক্ষা, কুসংস্কার প্রভিতিতে আচ্ছন্ন থাকে তবে স্বাভাবিকভাবে তাদের রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটে না। আর রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ না ঘটলে গণতন্ত্রের সাফল্যের স্বপ্ন দেখা যায় না। ভারতীয় সংবিধানের ২৯ এবং ৩০ নম্বর ধারায় সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার ঘোষিত হয়েছে। বলা হয়েছে যে
ভারতের সংবিধানে উল্লিখিত শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক অধিকার গুলি হলো
- ১) সব শ্রেণীর নাগরিক নিজ নিজ ভাষা, লিপি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করার অধিকারী। এই অধিকারের স্বীকৃতির মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির স্বার্থ সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- ২) রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত অথবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ আধিকার থেকে কোন ব্যক্তিকে ধর্ম , বংশ ও জাতি বা ভাষার অজুহাতে বঞ্চিত করা যাবে না। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশ অধিকারের জন্য উপযুক্ত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন।
- ৩) ধর্ম অথবা ভাষাভিত্তিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলি নিজেদের পছন্দমত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারে। এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাহায্যপ্রদানের বিষয়ে রাষ্ট্র কোন রূপ বৈষম্য মূলক আচরণ করবে না। এরূপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় ভিত্তিতে অসন সংরক্ষিত রাখা যাবে না
- ৪) রাষ্ট্র সংখ্যালঘু শ্রেণীর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে চাইলে তাকে পুরো ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।